এক নজরে
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ন সংস্থা । নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দ্বায়িত্ব অর্পন করে ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ( ডিপিএইচই )। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালেএর সাথ যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদানের দ্বায়িত্ব । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যহতি পরে সরকার প্রথেমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন পদ্ধতি গুলোর পুনর্বাসনের গুরুত্বারোপ এবং তৎপরবর্তীতে নতুন অবকাঠামো স্থাপন শুরু করে ডিপিএইচই’র মাধ্যমে । একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওয়াশার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত সমগ্রদেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটশেন ব্যাবস্থা নির্মান ও ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত । জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে । জনগনের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিন এশিয়াই অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছ । পল্লি এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস ( টিউবওয়েল ) ও স্যানিটারি লেট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষনাবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দ্বায়িত্ব । তাছারা অত্র অধিদপ্তর পল্লী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তর রক্ষনাবেক্ষনে ইউনিয়ন পরিষদকে WATSAN কমিটির মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা প্রদান , স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরন এবং পরিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে । দ্রূত নগরায়নের ফলে পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন চাহিদা উত্তরউত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ চাহিদা পূরনে অত্র দপ্তর পৌরসভাসমূহের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মান সহ কারিগরী সহায়তার আওতায় পরিকল্পনা প্রনয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করছে । এছাড়া বন্যা , সাইক্লোন ,সহামারী ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জরূরী পরিস্থিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS